প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় ভারত আমাদের বাংলাদেশীদের কাছে এক নম্বর ভ্রমণ গন্তব্য। অন্যান্য প্রয়োজন বাদেও প্রতিবছর শুধুমাত্র বেড়ানোর জন্যই এদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ভারতে যায়। যেহেতু বাংলাদেশের তিন দিক ঘিরে রয়েছে ভারত আর তাই ভারত যাওয়া আসার জন্য রয়েছে অনেকগুলো ল্যান্ড পোর্ট। ভারতীয় ভিসা আবেদনে কোথায় ভ্রমণের জন্য কোন পোর্ট উল্লেখ করবেন? আপনার গন্তব্য অনুযায়ী নির্ভর করবে কোন পোর্ট দিয়ে ভারতে গেলে আপনার জন্য সেটা সুবিধাজনক হবে। ম্যাপে চোখ রাখুন আর দেখে নিন ভারতের বিভিন্ন জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর অবস্থান। তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন গন্তব্যের জন্য কোন পোর্ট ব্যবহার করতে হবে। ভারতীয় ভিসা ফর্ম পূরণের সময় কোন পোর্ট দিয়ে আপনি যাতায়াত করতে চান সেটা উল্লেখ করতে হয়। ভুল পোর্ট উল্লেখ করলে সেটা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা নষ্ট করে দিতে পারে।
জেনে নিন আপনার গন্তব্য অনুযায়ী কোন পোর্টটি যথাযথ হবে-
- যদি আপনি কলকাতা বা কলকাতা হয়ে দিল্লী বা অন্যান্য গন্তব্যে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে হরিদাসপুর/গেদে পোর্ট।
- আপনি যদি দার্জিলিং, সান্দাকফু বা ডুয়ার্স যেতে চান উল্লেখ করতে হবে চেংরাবান্ধা/বাংলাবান্ধা পোর্ট
- মেঘালয় বা আসামের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক পোর্ট হল ডাউকি
- আসাম বা ত্রিপুরায় বেড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন আগরতলা পোর্ট
ভারতীয় ভিসার নিয়ম নীতি এখন অন্য সময়ের তুলনায় অনেক সুবিধাজনক করা হয়েছে। পূর্বে ভিসাতে যে একটি মাত্র পোর্ট উল্লেখ করা থাকত শুধুমাত্র সেই পোর্ট ব্যবহার করে যাওয়া আসা করতে হত। বর্তমান নিয়মে এখন আপনি অন্য যে পোর্টই উল্লেখ করুন সাথে হরিদাসপুর, গেদে পোর্ট এবং প্লেনে ২৪ টা বিমানবন্দরে যাতায়াত করতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ, মনে করুন আপনি মেঘালয় যাবার জন্য ডাউকি পোর্ট উল্লেখ করে ভিসা নিবেন। ভিসা পেলে আপনি ডাউকি পোর্টের সাথে সাথে হরিদাসপুর/গেদে পোর্ট এবং বিমানে যাবার অনুমোদন পেয়ে যাবেন। এর মানে ডাউকি হয়ে মেঘালয় ভ্রমণের পাশাপাশি আপনার ইচ্ছা বা প্রয়োজন হলে আপনি বাসে, ট্রেনে বা প্লেনে করে কলকাতাও যেতে পারবেন।
ভারত ভ্রমণকে আরও উৎসাহিত করতে ইন্ডিয়ান হাই কমিশন ভিসাতে সমন্বিত পোর্ট সুবিধা চালু করেছে। এই সুবিধা অনুযায়ী, অন্য যেকোন পোর্টের সাথে স্থলপথে হরিদাসপুর বা বেনাপোল, রেলপথে গেদে বা দর্শনা এবং বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত ২৪টি এয়ারপোর্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন আপনি।
তাই এখন শুধুমাত্র হরিদাসপুর, গেদে পোর্ট বা বাই এয়ার উল্লেখ করাটা বোকামি হবে কারণ এই পোর্টগুলো ব্যবহার করার অনুমোদন আপনি অন্য যে কোন পোর্টের সাথে এমনিতেই পাবেন। তাই আপনি যদি ডাউকি, চেংরাবান্ধা বা আগরতলা পোর্ট উল্লেখ করেন, উল্লেখিত পোর্টের সাথে ভারত প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনার জন্য ৪টি পথ খুলে যাবে। ভিসায় উল্লেখিত পোর্ট ব্যবহার না করেও আপনি এইসব পোর্ট দিয়ে ভারত যাতায়াত করতে পারবেন।
আবার আপনি চাইলে ভিসার মেয়াদ ৩ মাস থাকার আগ পর্যন্ত ৩০০ টাকা ফি দিয়ে অতিরিক্ত পোর্ট যোগ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ৭ দিনের মধ্যেই ভিসায় নতুন পোর্ট যোগ হয়ে যায়। আপনার যদি ভারতের নানান দিকে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা থাকে তবে এভাবে পোর্ট যোগ করে নিয়ে সুবিধা অনুযায়ী ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারেন।
ইদানিং বাংলাদেশীদের জন্য ভারতের কিছু রেস্ট্রিক্টেড এলাকা যেমন সিকিম, অরুনাচল, লাদাখ ইত্যাদিতে ভ্রমণের সুযোগ মিলছে অনুমতি সাপেক্ষে। এই অনুমতি পাবার জন্য পূর্বে দিল্লিতে আবেদন করতে হত, যা পাওয়া ছিল সময় সাপেক্ষ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাওয়াই যেত না। এখন নিয়ম সহজ করেছে যাতে আপনি সহজেই অনুমতি নিয়ে এই পূর্বে নিষিদ্ধ এলাকাগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন। এখন দেশেই ভিসা সেন্টার থেকে ভিসা নেবার সময়ই অথবা আগের ভিসা থাকলে সেটা শেষ হবার তিন মাস আগ পর্যন্ত নির্দিষ্ট আবদেন পত্র পূরণ করে এবং ৩০০ টাকা ফি জমা দিয়ে আবেদনের ৭ দিনের মধ্যেই অনুমতি পেতে পারেন। আবেদন পত্র পূরণের সময় আপনাকে আপনার ভ্রমণের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করতে হবে। শুধুমাত্র সেই সময়ের জন্যই আপনাকে নিষিদ্ধ এলাকাগুলো ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে।
ভারত সরকার তার দেশে ভ্রমণকে উৎসাহিত করতে আমাদের জন্য ভিসা পাওয়া বা যাতায়াত অনেক সহজ করে দিয়েছে। সেই সুযোগ গ্রহণ করে সল্প বাজেটেও আপনি ঘুরে আসতে পারেন নানান দর্শনীয় স্থান কিন্তু খেয়াল রাখবেন ভিনদেশী হিসেবে আপনার কোন আচরণের জন্য যেন পুরো দেশ বা দেশের মানুষ সম্পর্কে কেউ খারাপ ধারণা পোষণ না করে। আনন্দময় হোক আপনার ভ্রমণ।
GET SOCIAL
Subscribe and stay up to date.
ATTENTION!
নিজস্ব জগতে প্রতিনিয়ত নিজের পায়ে ভর করে দাঁড়াতে চাওয়া নারীদের আনন্দ, হাসি, ভাবনা, বিশ্লেষণ কিংবা জয়-পরাজয়ের গল্পগুলোকে একত্রে জড়ো করে রাখার ক্ষুদ্র প্রয়াস “নারীদের গল্প” বিভাগটি। আর গল্পগুলোর লেখক কিংবা পাঠক, আপনারাই।
আপনার লেখা আমাদের কাছে পাঠাতে আমাদের Contact পেইজে যোগাযোগ করুন অথবা ইমেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
|Discussion
BEST SARRES|
READ MORE|